ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী কিসামত ও সিংগিয়া মৌজার জমি ক্রয় করে বিপাকে পরেছেন ৩৫ জন ক্রেতা। দলিল মূলে জমি ক্রয় করে সেই জমি এখন হয়ে গেছে খাস। তাই সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করে এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জমি ক্রেতারা।

 

সোমবার (১৩ জানুয়রি) দুপুর আড়াইটায় সদর উপজেলার ভূল্লী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

 

সংবাদ সম্মেলনে সিংগিয়া গ্রামের জমি ক্রেতা আলহাজ্ব আফাজ উদ্দীন ভূঁইয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লীর ৫নং বালিয়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ও ৮ নং ওয়ার্ডের কিসামত এবং সিংগিয়া মৌজার ৬৩ ও ৬৪ জেএল এর ২০,২৯,৮৩, খতিয়ান ভুক্ত মোট সম্পত্তি ১৫৬.৬২ একর জমি হতে এসএ রেকর্ড মূলে রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরীর ৭২.০২ একর ও আফতাফ উদ্দীন চৌধুরীর ৪২.২৮ একর এবং মোফজ্জল হক চৌধুরীর পিতা হেকমতুল্লা চৌধুরী ৪২.২৮ একর। কিন্তু রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী ২০,২৯,৮৩ খতিয়ান হতে ৩৫টি দলিল মুলে ৫৭.৫৪ একর জমি বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট হস্তানন্তর করেন। পিও ৯৮/৭২-৭৩ বাংলাদেশ সরকারের অদ্য আদেশ বলে ৭২.০২ একর হতে ৫৭.৫৪ বাদ দিলে অবশিষ্ট ১৪.৪৮ একর জমির স্থলে সরকার বরাবরে বেআইনিভাবে ১১০.১৭ একর জমি রির্টান দাখিল করেন এবং রির্টান দাখিলের পরেও ১৯৭২ সালের পরে ১৪.৪৮ একর জমি হতে বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ১৩.৩৮ একর জমি বিক্রি করে হস্তান্তর করেন। তাহলে অবশিষ্ট থাকে মাত্র ১.১০ একর জমি।

কিন্তু সরকার ইতি পূর্বেই সরকারী পিও ৯৮/৭২-৭৩ এর আদেশ বলে ১১০.১৭ একর জমি রির্টান দাখিল করেন।

 

অথচ দরখাস্তকারি সুলতানা রেজওয়ান ২০০১ সালের ১২ আগস্ট এ ৩৩.৩৩ একর সম্পত্তি নিজ দখলে রাখেন মর্মে দরখাস্ত দাখিল করেন। কিন্তু তৎকালিন ভূমি অফিস বালিয়া ও ঠাকুরগাঁও সদর ভূমি অফিসে রির্টানকারি ব্যক্তিগণের দ্বারা অন্যায়ভাবে লাভবান হয়ে অত্র আদেশ প্রনোয়ন করেন।

 

বিষয়টি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারিতে ভূমি জরিপ করতে গেলে আমরা জানতে পারি যে, ২০/৮৩/২৯ খতিয়ান ভুক্ত সম্পূর্ন সম্পত্তি খাস হয়ে গেছে। তাই পিও ৯৮/৭২ এর জাবেদা কপি দরখাস্ত দাখিল করি ও তা উত্তোলন করে আরও জানতে পারি মুল মোকদ্দা XIII/৭১/৭২-৭৩ পিও ৯৮/৭২। উত্তোলন করে উকিলের মাধ্যমে দরখাস্তকারি সুলতানা রেজওয়ান বনাম প্রতিপক্ষ তহশিলদার বালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঠাকুরগাঁও সদর ঠাকুরগাঁও একটি রিভিউকারি আলহাজ আফাজ উদ্দীন ভূঁইয়াসহ মোট ৪৭ জন মিলে একটি নথি দাখিল করেন ২০২৩ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি। যার স্বারক নং-১৬৯।

 

উল্লেখিত মৌজার ২০,২৯,৮৩ খতিয়ানে ক্রয়কৃত ব্যক্তিগণ রির্টানের পূর্বে ও পরে জমি ক্রয় করে ভূমি অফিসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারি ও এসিলেন্ট অফিসে লাঞ্চিত হচ্ছেন। তাই সরকারের নিকট বিষয়টি উচ্চ খমতাশীল ব্যাক্তিগণের সমন্বয়ে টিম গঠন, সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অত্র এলাকার মেহনতি ও গবির মানুষের পক্ষে সরকারের সুদৃষ্টির জন্য আবেদন জানান।

 

এছাড়াও তিনি বলেন, এবিষয়ে আমরা ভূমি আইনে মামলা করেছি। আমরা দলিলমূলে আমাদের জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এসময় আব্দুল আজিজ, রহিদুল ইসলামসহ অনেক জমি ক্রেতা ও ভূল্লী প্রেসক্লাবের এবং জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।